করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ফের আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর মধ্যে তিনটি পাথরবাহী এবং একটি টমেটোবাহী ট্রাক।
তামাবিল স্থল বন্দর কাস্টমসের সুপার প্রীতিময় কান্তি বড়–য়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৯ মার্চ থেকে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে এ বন্দর দিয়ে ফের আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চারটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সন্ধ্যা নাগাদ আরো দুটি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে বলে জানান তিনি। তবে, এদিন বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী কোন ট্রাক ভারতে যায়নি বলে জানান তিনি।
তামাবিল স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে ভারতীয় পণ্যবাহী প্রতিটি ট্রাক স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, তামাবিল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত মেডিকেল টিম ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। এরপর সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে এই স্থলবন্দরটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ নিয়ে স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে। এর ভিত্তিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কয়েকটি বিধি নিষেধ মেনে এই স্থলবন্দর চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন। বেকার হয়ে পড়েন কয়েক হাজার শ্রমিক। এই স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় সরকার প্রায় ৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে জানান তিনি। এই স্থলবন্দরের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। স্থলবন্দর চালু হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা খুশি বলে জানান তিনি।
কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু জানান, আগামীকাল ১৯ আগস্ট থেকে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে চুনাপাথর আমদানী শুরু হবে।